খাদ্য সচেতনতায় ক্যান্সার প্রতিরোধ (স্বাস্থ্য টিপস)

ক্যান্সার প্রতিরোধঃ ক্যান্সার একটি ভয়াবহ রোগ। অনেক রোগ ই মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে ফেলে। তাদের মধ্য অন্যতম হলো ক্যান্সার। কিন্তু আমরা খুবই অসচেতন। কেননা আমরা জানিনা বিভিন্ন জটিল রোগ কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়। আমরা এটাও জানিনা ক্যান্সারের প্রকোপ কিভাবে কমানো যায়।

খাদ্য সচেতনতায় ক্যান্সার প্রতিরোধ 

খাদ্য সচেতনতায় ক্যান্সার প্রতিরোধ



আন্তর্জাতিক ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট এর মত অনুসারে, শতকরা ৮০ ভাগ ক্যান্সার  কিছু সাধারণ কারণে হয়ে থাকে যা প্রতিরোধ করা সম্ভব। এসব চলাফেরা বা খাদ্যের কারণে হয়ে থাকে। বলা হয়, ৩০ ভাগ চলাফেরার কারণে বাঁকি ৫০ ভাগ খাদ্যের কারণে।

একটি কোষ অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে অনেকগুলো কোষে পরিণত হয় এবং এখান থেকেই ক্যান্সারের সৃষ্টি। খাদ্য হতে আসা কি পদার্থের কারণ ক্যান্সার। 

কার্সিনোজেন নষ্ট হয় খাদ্যের মধ্যকার অন্যান্য দ্রব্য ও ভিটামিনের কারণে। ক্যান্সার সৃষ্টকারী দ্রব্যের প্রভাবে কোষগুলো অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়ে কোষের গঠন ও DNA পরিবর্তনের মাধ্যমে ক্যান্সার সৃষ্টি হয়।

খাদ্যের মাধ্যমে যেমন ক্যান্সার সৃষ্টি হয়। কিছু খাদ্যের মাধ্যমে আবার ক্যান্সার প্রতিরোধ ও করা সম্ভব।

আঁশজাতীয় খাবার


আঁশজাতীয় খাবারের ভূমিকা ব্রিটিশ চিকিৎসক ডেনিস প্রত্যক্ষ করেছেন, আঁশজাতীয় খাবার খাদ্যনালীর ক্যান্সার কমায়। 

যেসব মানুষ আঁশযুক্ত খাবার অর্থাৎ উদ্ভিজ্জ খাবার বেশি খায়, তাদের Colon Cancer কম হয়। অপর দিকে প্রাণিজ খাবার বেশি গ্রহণ করলে ক্যান্সার উৎপাদনকারী পদার্থ বেশি তৈরি হয় ও কোলন ক্যান্সার বেশি হয়। 

এ ছাড়াও গোশত ও দুধ Prostate ক্যান্সার ও Ovarian ক্যান্সারের সাথে সম্পৃক্ত


চর্বিযুক্ত খাবার


চর্বিজাতীয় খাবার কিভাবে ঝুঁকি বাড়ায় যেসব খাদ্য শরীরে ক্যান্সার তৈরিতে সহযোগিতা করে, চর্বিজাতীয় খাবার তাদের অন্যতম। 

চর্বি থেকে হরমোন তৈরি হয় বিশেষ করে Estrogen যা স্তন (Breast Cancer)-এর ঝুঁকি বাড়ায়। 
আমেরিকার ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট প্রত্যক্ষ করেছে, যারা শতকরা ৩৭ ভাগ চর্বিজাতীয় খাবার গ্রহণ করে, তাদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পরিমাণ বেশি। 

আর যারা খাদ্যের ৩০ ভাগের নিচে চর্বিজাতীয় খাবার গ্রহণ করে, তাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রায় ৩০ ভাগ কমে যায়।

আরও পড়ুন... 
  1. সন্তান না হলে করণীয় কী ? (পরামর্শ )
  2. গোপন কিছু রোগ | যে রোগে একদম অবহেলা নয় (যৌন ও চর্ম)
  3. কোষ্ঠকাঠিন্য ও নিরাময়

শাকসবজি 


খাদ্যে শাকসবজির গুরুত্ব কী? এক দিকে সবজিতে যেমন আঁশ থাকে যা চর্বি কমায়। অপর দিকে এরা ক্যান্সার প্রতিরোধ উপাদান তৈরি করে। যেমন ক্যারোটিনয়েড। 

বিটাক্যারোটিন যা ক্যান্সার তৈরিতে বাধা দেয়। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে সবজি খাবারে থাকলে তা Colon Cancer, ফুসফুসের ক্যান্সার, মূত্রথলির ক্যান্সার ইত্যাদি কমায়। 

এ ছাড়া কফি, Broccoli, এসবে থাকে ফ্লাবোনস ও ইনডোনস যা ক্যান্সার প্রতিরোধী হিসেবে কাজ করে। 

যেসব খাদ্যে ভিটামিন 'সি' থাকে তা গ্রহণ করলে (Esophagus) খাদ্যনালীর ক্যান্সার ও পাকস্থলীর ক্যান্সার কমায়।

ভিটামিন সি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি Nitrate কনভার্সন কমায়, যা ক্যান্সার সৃষ্টি করে। ফলে পাকস্থলীর ক্যান্সার কমায়। 

ভিটামিন ই, বিটাক্যারোটিন এদের মতো সিলেনিয়াম অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা শস্য জাতীয় খাবারে পাওয়া যায়।

আ্যলকোহল


অ্যালকোহল এমন একটি পদার্থ, যা অনেকগুলো ক্যান্সার তৈরির উপাদান হিসেবে কাজ করে। যেমন- Brest Stomach, Esophagus, Larynx, Pharynx, Liver ইত্যাদি ক্যান্সার তৈরিতে ভূমিকা রাখে। 

আর ধূমপানের সাথে যৌথভাবে করলে আরো বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। তাই যতটুকু সম্ভব অ্যালকোহল গ্রহণ থেকে বিরত থাকলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কম।


ক্যান্সার বিশারদদের মতে ২০ টি এমন খাদ্য, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে খুবই পাওয়ারফুল । যেমন,

  1. Garlic, Cabbage, 
  2. Broccoli, 
  3. Kale, 
  4. Asparagus, 
  5. Tomatoes, 
  6. Grapes, 
  7. Ginger, 
  8. Strawberries, 
  9. Blueberries,
  10. Turmeric,
  11. Green Tea, 
  12. Swiss Chard, 
  13. Lentils, 
  14. Chili Pepper, 
  15. Flaxseeds,
  16. Avocados,
  17. Oranges,
  18. Lemon,
  19. Licorice 
  20. Root


পরিশেষে

সাবধানতার সাথে খাদ্য গ্রহণ এবং প্রয়োজন অনুযায়ী বর্জন করে চললে আমরা কঠিন বিপদ হতে রক্ষা পেয়ে যেতে পারি। পুষ্টিকর খাবার গ্রহণে আমাদের স্বাস্থ্য সতেজ থাকে। বেছে খাবার গ্রহণ করা উচিৎ।

তথ্য উৎস:

Post a Comment

0 Comments