কোষ্ঠকাঠিন্য ও নিরাময়
অধিকাংশ মানুষ ই কোষ্ঠকাঠিন্যের ভুক্তভোগী। অস্বাভাবিক শক্ত হওয়ায় বাথরুমে ঘন্টার পর ঘন্টা চেষ্টা করে ক্লিয়ার করা হয় তা ও সম্ভব হয়না। দীর্ঘমেয়াদী কোষ্ঠকাঠিন্য অবশ্যই অবহেলা করা উচিৎ নয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য হলে সপ্তাহে তিনবারের কম পায়খানা হয় এবং তা অতিশক্ত। কেউ পর্যাপ্ত পরিমাণে আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ার পরও এ সমস্যা থেকে গেলে অবহেলা না করে জরুরি ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ।
অনেকদিন কোষ্ঠকাঠিন্য রোগটার প্রতি উদাসীন থাকা উচিৎ নয়। কারণ দীর্ঘদিন এ রোগে ভূগলে মানবদেহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এবং মলদার বিভিন্ন বিপদজনক অবস্থার সম্মুখীন হতে পারে।
যেমন:
এসবের পাশাপাশি ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ।
তবে, মনে রাখতে হবে, কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য অনেকেই কারণ শনাক্ত না করে বা উপরোল্লিখিত প্রাথমিক ব্যবস্থাগুলো না নিয়েই প্রথম থেকে মল নরম করার বিভিন্ন ধরনের ওষুধ, সিরাপ এবং মলদ্বারের ভেতরে দেয়ার ওষুধ প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে থাকেন, যা মোটেও উচিত নয়।
কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ:
মূল উপসর্গ হলো মল শক্ত ও কঠিন হওয়া।
- বেশি সময় ধরে মলত্যাগ হওয়া বা সম্পূর্ণ না হওাা।
- বেশি চাপ প্রয়োগের প্রয়োজন হয়।
- মলদ্বারে ও তলেপেটে ব্যাথা।
- অন্যকোন উপায়ে মল বের করার প্রয়োজন।
কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ:
বিভিন্ন কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। আঁশযুক্ত খাবার কম খাবার ফলেও কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। কিংবা জটিল কোন রোগ শরীরে বাসা বাঁধার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য উপসর্গ হিসেবে দেখা দিতে পারে। এছাড়াও অলস বা যান্ত্রিক জীবন যাপনের ফলেও কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়াটা স্বাভাবিক।- আঁশযুক্ত খাবার ও শাকসবজি কমে খেলে বা খাদ্য গ্রহণে অনিয়ম হলে।
- অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার বা নিয়মিত ফাস্টফুড খেলে।
- মল চেপে রেখে মলত্যাগ না করলে।
- মানসিক চাপ অতিরিক্ত থাকলে।
- পরিশ্রমী না হয়ে অলস জীবণ যাপন করলে।
- গর্ভাবস্থায়।
- শিশুরা মায়ের দুধ ব্যতীত কৌটাজাত দুধ খেলে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের পরিণতি :
অনেকদিন কোষ্ঠকাঠিন্য রোগটার প্রতি উদাসীন থাকা উচিৎ নয়। কারণ দীর্ঘদিন এ রোগে ভূগলে মানবদেহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এবং মলদার বিভিন্ন বিপদজনক অবস্থার সম্মুখীন হতে পারে।
যেমন:
- মলদার দ্বারা মল ধরে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়ে অর্থাৎ সে ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়।
- প্রসাবের সমস্যা হয়।
- অর্শ বা পাইলস, ফিল্টুস, এনাল ফিশার বা গেজ রোগ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
- অন্ত্রে ব্লক হয়ে পেট ফুলে যায় বা পেট ব্যাথা হয়।
- ক্ষুধামন্দা বা অরুচি, বমিবমি ভাব।
- ওজন কমে যাওয়া ও রক্তশূন্যতা।
আরও পড়ুন... ৫টি জটিল রোগ | জেনে নিন এবং সাবধান হোন আজই
কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের চিকিৎসা :
- প্রচুর পরিমাণে পানি ও তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে।
- শাকসবজি ও আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে।
- ব্যায়াম ও নিয়মিত হাঁটাচলা করতে হবে।
- অলস জীবন-যাপন করা যাবেনা।
- নরম জাতীয় ফল যেমন:পেঁপে,বেল খেতে হবে।
- সম্ভব হলে ইসবগুল বা তার ভূসি খেতে হবে।
- হালকা গরম দুধ খাওয়া ভালো।
- সোনাপাতা ও ঘৃতকুমারী জুস খাওয়া ভালো।
এসবের পাশাপাশি ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ।
তবে, মনে রাখতে হবে, কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য অনেকেই কারণ শনাক্ত না করে বা উপরোল্লিখিত প্রাথমিক ব্যবস্থাগুলো না নিয়েই প্রথম থেকে মল নরম করার বিভিন্ন ধরনের ওষুধ, সিরাপ এবং মলদ্বারের ভেতরে দেয়ার ওষুধ প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে থাকেন, যা মোটেও উচিত নয়।
নিয়মিত এসব ওষুধ ব্যবহার করলে সেটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। এর ফলে মলদ্বারের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা আর থাকে না।
Conclusion:
কোষ্ঠকাঠিন্যের সঠিক কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা নেয়া উচিত। একথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে, মলত্যাগের সময় य মলের সাথে তাজা রক্ত গেলে, মলদ্বারে ব্যথা হলে, চিকন মল বের হলে দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে।
0 Comments